তুলে নিয়ে পাটক্ষেতে তরুণীকে গণধর্ষণ

তুলে নিয়ে পাটক্ষেতে তরুণীকে গণধর্ষণ
প্রতিকী ছবি

মাদারীপুরের শিবচরে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় এক তরুণীকে (১৯) তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একদল বখাটের বিরুদ্ধে।

গত ৮ মে জেলার শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের পদ্মার চর এলাকার তাহের শিকদারের কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রোববার (১৪ মে) রাতে মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে গ্রেফতারকৃতদের পরিচয় জানাতে অসম্মতি জানিয়েছে পুলিশ।

মেয়েটির দিনমজুর বাবা জানান, হতদরিদ্র হওয়ায় ভয়ে মেয়েটি অসুস্থ থাকায় ঘটনার পরপরই মেয়েকে নিয়ে থানায় যেতে পারেননি। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা অভয় দিলে রোববার রাতে গিয়ে অভিভুক্ত ৪ যুবকের নামে মামলা দায়ের করেন।

মামলার বিবরণ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিবচরের বন্দরখোলা ইউনিয়নের মোছলেম মৌলভীর কান্দি এলাকার এক হতদরিদ্র দিনমজুর পরিবারের ১৯ বছর বয়সী মেয়েটি গত ৮ মে বিকেলে জামা-কাপড় কিনতে স্থানীয় শিকদার হাটে যান। বাড়ি ফেরার সময় সন্ধ্যার দিকে শিকদারহাট বড় ব্রিজের ওপর আড্ডা দিতে থাকা অভিযুক্তরা মেয়েটির গতিরোধ করে মোবাইল নম্বর চান।

নম্বর না দিয়েই মেয়েটি তড়িঘড়ি করে বাড়ির পথে হাঁটতে থাকলে পিছু নেয় বখাটেরা। নির্জন স্থানে পৌঁছালে পেছন থেকে মুখ চেপে একটি পাটক্ষেতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে চিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে বখাটে যুবকরা পালিয়ে যায় এবং এ ঘটনা কাউকে না জানাতেও হুমকি দেয় তারা।

ঘটনাটি জানাজানি হলে ৬ দিন পর রোববার রাতে ওই ইউনিয়নের বাক্কাস মোল্লার ছেলে হাসান মোল্লা (২১), লাল মিয়া শিকদারের ছেলে মেহেদী শিকদার (২১), আবু খালাসীর ছেলে সাগর খালাসী (১৯) এবং ফালান শেখের ছেলে আল আমিন শেখ ওরফে জিলা শেখের নামে বাদী হয়ে ভুক্তভোগী মেয়েটি মামলা দায়ের করেন। এরপরই অভিযুক্তদের গ্রেফতারে মাঠে নামে পুলিশ। 

শিবচর থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মামলা দায়েরের পরই আমরা অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করেছি। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। শিগগিরই তাদের গ্রেফতারে সক্ষম হবো।

-এইচপি